ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রধান আসামি সাব্বির খান রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ছবি-বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় মুতাসসিম বিন মাজেদ ওরফে হৃদয় (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।হত্যার আগে হৃদয়কে অপহরণ করা হয়েছিল। তাকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই তিন আসামিকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিউর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শহরের কালিশংকরপুর এলাকার গাফফার খানের ছেলে সাব্বির খান, হাউজিং এ ব্লকের আজম আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ড্যানী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল ক্যানেল পাড়ার মৃত মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ ওরফে ইপিয়ার।



রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি সাব্বির খান উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

মামলার বিবরণের বরাদ দিয়ে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন দুলাল জানান, আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া পূর্বপাড়া থেকে জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হৃদয়কে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর চারদিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুনের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ১২ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বহু দেন-দরবার শেষে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা হৃদয়কে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়। অপহরণকারীদের কথা মতো ২ জুন গোপনে নির্দিষ্ট স্থানে দুই লাখ টাকা পৌঁছে দেয় হৃদয়ের মা তাসলিমা। তারপরও হৃদয়কে ফেরত না দেওয়ায় তাসলিমা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ এর ৭/৮ ধারায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকা থেকে অপহরণকারী হেলাল উদ্দীন ড্যানীকে (২২) আটক করে পুলিশ। পরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হৃদয়কে অপহরণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভেড়ামারার ১০ মাইল এলাকার মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে ইপিআর-এর মাধ্যমে অপহৃত হৃদয়কে হত্যা করেন তারা। পরে ভেড়ামারা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ১০ মাইল নামক স্থানে ফখরুলের ইটভাটার পাশে মিজানুর রহমানের জমিতে মরদেহ পুঁতে রাখা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে অপহরণ ও হত্যা দুই মামলায়ই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার শুনানি ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার হৃদয়কে অপহরণের দায়ে ওই তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর একই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।