ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আপনের মালিকসহ দু’জনের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
আপনের মালিকসহ দু’জনের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর মামলা

ঢাকা: আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারসহ দুইজনের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকির অভিযোগে তার পুত্রবধূ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে একটি মামলা করেছেন।

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ও আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা সোমবার (১১ র্মাচ) এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

আদালত নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

মামলার অপর আসামি হলেন আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক মো. মোখলেছুর রহমান।

বাদী তার অভিযোগে বলেন, ২০১৫ সালে দিলদার আহম্মেদ সেলিমের ছেলে সাফাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। বর্তমানে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর দিলদার তার উপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে তিনি বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো উৎসাহিত করতেন এবং সহযোগিতা করতেন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের বহুল আলোচিত ঘটনার মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহম্মেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ প্রধান আসামি।

সাফাত আহমেদ কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর গত বছরের ৩১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। তবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস  সাফাতের জামিন বাতিল করে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরপর থেকে গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন আসামিরা। বাদী তার অভিযোগে আরো বলেন, গত ৫ মার্চ বাসায় ফেরার পর একই উদ্দেশ্যে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে, চরথাপ্পড় মেরে ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে আসামিরা তার তলপেটে লাথি মারার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালঙ্কর, নগদ অর্থ রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন।  

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহম্মেদ গাজী, অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট সানোয়ার হক টিপু।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, র্মাচ ১১, ২০১৯
এমএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।