ঢাকা, বুধবার, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ রজব ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খালেদার রিট ‌‘কার্যতালিকা থেকে বাদ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
খালেদার রিট ‌‘কার্যতালিকা থেকে বাদ’

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতার রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

রোববার (২৩ জুন) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, রিট শুনানির সময়ই আমি আপত্তি জানিয়ে বলেছি, এটা দুদক সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি হওয়া দরকার। এরপর আদালত আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।

এর আগে গত ১১ জুন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ রিটটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
 
গত ২৬ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। পরে ২৮ মে এ রিটের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ এবং খালেদা জিয়ার রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবীরা। ওইদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে সংশ্লিষ্ট আদালতের গেজেট ও নাইকো মামলা আমলে নেওয়ার আদেশের অনুলিপি চেয়ে শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
 
কিন্তু ১০ জুন রিটের সম্পূরক নথি দাখিলের হলফনামার জন্য ওইদিন শুনানি (নট টু ডে) হয়নি। সেই ধারবাহিকতায় ১১ জুন শুনানির জন্য উঠে। এদিন খালেদার আইনজীবীরা অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশের অনুলিপি আদালতে দাখিল করেন। তবে গেজেটের অনুলিপি পাননি বলে তা জমা দিতে পারেননি। এরপর আদালত শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
রিটে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নম্বর ভবনে স্থানান্তরে জারি করা গত ১২ মের গেজেট কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এ রুল জারির আবেদনের পাশাপাশি ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
 
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২১ মে ওই গেজেট বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
 
ওইদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
‘সেই প্রজ্ঞাপন খালেদা জিয়া ও আমরা তার আইনজীবী হিসেবে বেআইনি বলে মনে করি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এ প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। পাশাপাশি ফৌজদারি কার্যবিধিতে (সিআরপিসি) স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে যে, কোথায় কোথায় আদালত স্থানান্তরিত হতে পারে। ওই সিআরপিসির ৯(২) উল্লেখ নাই কারাগারে কোর্ট স্থাপিত হতে পারে। সেজন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই গেজেট উইথড্র না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। ’  

এ নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
ইএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।