ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিএমএম কোর্টের কর্মচারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
সিএমএম কোর্টের কর্মচারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

ঢাকা: হিযবুত তাহরীরের লিফলেটসহ গ্রেফতার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারী আল আমিন (৩০) জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার সিএমএম কোর্টের বিচারক মোহাম্মদ জসিম এ অনুমতি দেন। এর আগে তাকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকর্তা চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল বাতেন।

 

আদালত রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে একদিনের জন্য কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

এ সময় তার পক্ষে জামিনের করা হলে সেটিও নামঞ্জুর করেন আদালত। বিচারক এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ‘আসামি আল আমিন নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তার সহযোগী অজ্ঞাত আসামিদের নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠনের লক্ষ্যে সরকার বিরোধী হিজবুত ও ধর্মীয় উসকানি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করে আসছে। আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সহযোগী পলাতক সদস্যদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ, ধর্মীয় উসকানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্য, অর্থের যোগানদাতাদের তথ্য সংগ্রহ ও গ্রেফতার এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বিধায় সহযোগী এজাহারনামীয় পলাতক, ভবিষ্যতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা, মদদদাতা ইত্যাদি জঙ্গি সদস্যদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্য, অর্থের যোগানদাতাদের তথ্য সংগ্রহ ও গ্রেফতার এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চান। ’

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোমবার চকবাজার থানার তালগাছ মসজিদের পাশে পাকা রাস্তার উপর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কতিপয় সদস্য নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জমায়েত হয়ে সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণ করছে বলে জানতে পারে র‌্যাব-১০ এর একটি টহল দল।  

এরপর রাত ৯টা ৫০ মিনিটে চকবাজার থানার ১৩ নং খাজে দেওয়ান দ্বিতীয় লেন (তালগাছ মসজিদ সংলগ্ন) মায়ের দোয়া টেলিকম দোকানের সামনে পাকা রাস্তার পৌঁছামাত্র র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে লিফলেট বিতরণকালে ১৩/১৪ জন লোক দৌড়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। সে সময় আল আমিন (৩০) ধরা পড়ে।

তার দেহ তল্লশিকালে হিযবুত তাহরীর উলাইয়ার একটি লিফলেট পাওয়া যায়।  এই ঘটনায় গ্রেফতারের পরদিন মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের নায়েক সুবেদার শেখ মনিরুজ্জামান ডিএডি বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬, ৮, ৯, ১০ ধারায় একটি মামলা (নম্বর ৩৮) করেন।

এজাহারে আল-আমিন ছাড়াও এজাহারে আসামি হিসেবে শাহাদত খান ইমন (৩০), অংকন (২২), শাকিল (২৮), হালিম (অজ্ঞাত), শামীম (৩০), জয় (৩২) ও রুবেল (৪০) এর নাম উল্লেখ করা হয়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একাধিক কর্মচারী জানান, আল আমিন একজন সৎ কর্মচারী। তিনি একজন মহানগর হাকিমের সাঁটলিপিকার হিসেবে কাজ করেন।  

‘সোমবার সন্ধ্যায় তিনি কাজ শেষে আদালত ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রায় সাহেব বাজার মোড় থেকে তাকে র‌্যাব আটক করে। তিনি এই মামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
কেআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।