ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঝিনাইদহের ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
ঝিনাইদহের ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবেদন

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঝিনাইদহের কোলা গ্রামের তিন জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে অবস্থিত তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্তের কথা জানানো হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক।

এটি তদন্ত সংস্থার ৭৫তম প্রতিবেদন।

তিন ব্যক্তি হলেন- ঝিনাইদহ সদরের কোলার (পূর্বপাড়া) মৃত আ. হামিদ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুর রশিদ মিয়া (৬৬) ও মৃত ওমেদ আলী মালিথার ছেলে মো. সাহেব আলী মালিথা (৬৮)। এদের দুই জনকে গত ২২ অক্টোবর গ্রেফতার হয়। এছাড়া পালাতক এক জনের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ তিন জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ জুন তদন্ত শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ১৭ জুন রাজাকার রশিদ মিয়ার নেতৃত্বে সহযোগী রাজাকার সাহেব আলী মালিথা ও পলাতক আসামিসহ ১০-১৫ জন রাজাকার কোলা গ্রামের শহীদ আজিবর মন্ডলদের বাড়িতে আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দিন মন্ডল ও আসির উদ্দিন মন্ডলকে আটক করতে এসে না পেয়ে তাদের তিন ভাই আজিবর মন্ডল, হবিবর রহমান মন্ডল ওরফে হাবা মন্ডল ও আনছার মন্ডলকে আটক ও মারধর, পিঠমোড়া করে বেঁধে অপহরণ করে ঝিনাইদহ শহরের দিকে নিয়ে যায়। পরে তাদের মাগুরা রোডের ধোপাঘাটা ব্রিজের ওপর গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়।

অভিযোগ-২: একাত্তর সালের ২৪ জুন আসামিরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী নিরীহ, নিরস্ত্র মুলুক চাঁনকে কোলা গ্রামের বসত বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

রশিদ মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর কমিউনিস্ট পার্টির কৃষক সংগ্রাম সমিতির হলিধানী ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টির পরোক্ষ সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এবং ১৯৮৮ হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।  

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হলিধানী ইউনিয়নের সভাপতি পদে বহাল আছেন। বর্তমানে একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীনত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

সাহেব আলী মালিথা একাত্তর সালে জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মর্মে জানা যায় বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
ইএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।