ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন: আদেশ মঙ্গলবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন: আদেশ মঙ্গলবার

ঢাকা: রাজধানীতে বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আদেশের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২২ নভেম্বর) এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমরা গত সপ্তাহে আদালতে একটি আবেদন করেছি- এই মুহূর্তে জরুরি নির্দেশনা দরকার ধুলাবালি বন্ধে। সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া কীভাবে স্বাস্থ্য রক্ষা হয়। সে আবেদন শুনানি করার প্রাক্কালে সিটি করপোরেশন টাইম নিয়েছে। আদালত মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।

পরে সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, হঠাৎ করে বায়ূদূষণের মাত্রা, পরিবেশগত পরিবর্তন ও শীতকাল আসার আগে বায়ূদূষণের মাত্রা যে বাড়ছে তার জন্য ওনারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সে রিপোর্টে দেখায় বাংলাদেশে ঢাকা সিটিতে বায়ূদূষণের মাত্রা দিল্লি (ভারত) ও চায়নার একটা প্রদেশ থেকে অনেক বেশি। এ পর্যায়ে আমরা কোর্টকে আগামী পরশুদিন জানাবো এ বায়ূদূষণ বন্ধ করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিলাম এবং এ পদক্ষেপের কার্যকারিতা।

ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে গত ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

ওইদিন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, রুলে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।

মনজিল মোরসেদ আরও জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তা ও নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

১৫ দিনের মধ্যে আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ পালন করে এর দুই সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিপ্তররের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলাবালিপ্রবণ, যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দু’বার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ আদেশ অনুসারে বিবাদীরা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। পরে এ নিয়ে দুই সিটির নির্বাহীকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

ওই রিটেই গত সপ্তাহে সম্পূরক আবেদন করেছিলেন মনজিল মোরসেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।