ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দিয়া-রাজীবের মৃত্যু: দুই চালকসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
দিয়া-রাজীবের মৃত্যু: দুই চালকসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। ছবি: ডিএইচ বাদল/বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসচালকের সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ। এর মধ্যে কাজী আসাদ পলাতক থাকলেও বাকি দুইজন কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন>> বেপরোয়া জাবালে নূর যেভাবে কেড়ে নিলো রাজীব-দিয়ার প্রাণ

দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ৭ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষ হয়। ওইদিনই এ মামলার রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।  রাজীব ও দিয়া। এ মামলার মোট আসামি ছিলেন ছয়জন। এর মধ্যে জামিনে থাকা জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেনের মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত আছে।

আরও পড়ুন>> বাস না চালানোর প্রতিজ্ঞায় অটল রয়েছেন দিয়ার বাবা

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষিতে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানবন্দর সড়কে র‌্যাডিসন হোটেল সংলগ্ন সড়কে অপেক্ষামাণ শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। . 

এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭)  এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিমের (১৬) মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে।

আরও পড়ুন>> তবুও সড়কে ফেরেনি শৃঙ্খলা

পরে ঘটনার দিন রাতেই নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

আরও পড়ুন>> সড়ক আন্দোলনের সুফল মোটরসাইকেল চালক-আরোহীর মাথায় হেলমেট

আদালত তা আমলে নিয়ে ওই বছরের ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।  এরপর বিচার প্রক্রিয়ায় ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।  

সবশেষ গত ৭ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন আদালত।

আরও পড়ুন>> মেয়ের স্মৃতি ফ্রেমবন্দি করে রেখেছেন দিয়ার মা

এদিকে রাজিব ও দিয়ার মৃত্যুর পর সারাদেশে সপ্তাহ খানেক নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা নজিরবিহীন আন্দোলন গড়ে তোলে। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলন থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
কেআই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।