ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পেন্ডিং মামলার ৪০ শতাংশই মাদক সংক্রান্ত: আইনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
পেন্ডিং মামলার ৪০ শতাংশই মাদক সংক্রান্ত: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন পেন্ডিং মামলাগুলোর মধ্যে ৪০ শতাংশই মাদক সংক্রান্ত মামলা। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হলে অন্য মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সময় দিতে পারতেন বিচারকরা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএনডিপি দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

আনিসুল হক বলেন, বিচার ব্যবস্থার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিচার করা। কিন্তু আমাদের দেশে বিচার হতে অনেক লম্বা সময় লাগতো। এর জন্য আমরা জাস্টিস অডিট সিস্টেম চালু করি। এখানে আমরা এই বিলম্বের কারণ কি সেই প্রশ্ন খুঁজি। কারণ এই প্রশ্নের উত্তরই দ্রুত বিচার নিশ্চিত করবে। আমরা দেখলাম আদালতে পেন্ডিং থাকা মামলার প্রায় ৪০ শতাংশই মাদক সংক্রান্ত মামলা। আমরা এগুলোকে দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। এগুলো নিষ্পত্তি হলে বিচারকরা অন্য মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে বেশি সময় দিতে পারবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ধারার মামলাগুলোর নিষ্পত্তি আদালতের বাইরে করার। আদালতও এ বিষয়ে উৎসাহ দেয়। যদি বাইরে সমাধান করা নাই যায়, তারপর তো আদালত আছেই। যেমন ধরেন মাদক মামলায় এমন অনেক আসামি আছেন যারা হয়তো প্রথমবার মাদকের সংস্পর্শে এসেই মামলার মুখোমুখি হয়েছে। এদের জেলে দেওয়া সবসময় সমাধান হতে পারে না। বরং আমরা চাচ্ছি, তাদের নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে এনে সমাজে ফেরত নিয়ে আসা।  

প্যানেল আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, আমরা ইকুয়ালিটির (সাম্যতা) কথা বলি, কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে যে, অসাম্য সমাজে সাম্যতা সবসময় নিশ্চিত করা যায় না। আমাদের মতো দেশগুলোতে যেখানে সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, সেখানে সুযোগের সমান অধিকার সবসময় নাগরিকদের দেওয়া যায় না।  

প্যানেল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাও কি ইতো।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিন শতাধিক জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আমরা আশা করি, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা আরও বাড়বে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বেশকিছু বিষয়ে কাজ করতে হবে। রাজস্ব, ক্রস বর্ডার ইস্যু, পরিবহন, ইজ অব ডুইং বিজনেস এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে। ইজ অব ডুইং বিজনেস হচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সফটওয়্যার।  

সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো।  

এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে টেরিংক।  

দিনব্যাপী আয়োজনের বিভিন্ন অধিবেশনের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।