ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শোক দিবসে হামলা পরিকল্পনা মামলা বিচারের জন্য বদলি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
শোক দিবসে হামলা পরিকল্পনা মামলা বিচারের জন্য বদলি

ঢাকা: জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দুই বছর আগে জঙ্গি হামলা পরিকল্পনা মামলা বিচারের জন্য বদলি হয়েছে।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাফায়েত চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামলায় দায়ের করা অভিযোগপত্র ‘দেখিলাম’ মর্মে স্বাক্ষরের পর সোমবার তা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাইব্যুনাল চার্জশিট আমলে নেওয়ার পর মামলাটি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেবেন। দ্রুতই যাতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয় সেজন্য রাষ্ট্রপক্ষে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবো।  

গত ২৪ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন।

অভিযোগপত্রের  আসামিরা হলেন- আকরাম হোসেন খান নিলয় ওরফে স্লেড উইলসন, নাজমুল হাসান ওরফে মামুন, আবুল কাশেম ফকির ওরফে আবু মুসাব, আব্দুল্লাহ আইচান কবিরাজ ওরফে রফিক, তারেক মোহাম্মদ ওরফে আদনান, কামরুল ইসলাম শাকিল ওরফে হারিকেন ওরফে রোবট ওরফে তানজিম, লুলু সরদার ওরফে সহিদ ওরফে মিস্ত্রি, তাজরীন খানম শুভ, সাদিয়া হোসনা লাকী, আবু তুরাব খান, তানভির ইয়াসিন করিম ওরফে হিটম্যান ওরফে জিন, হুমায়রা জাকির নাবিলা, নব মুসলিম আব্দুল্লাহ ও তাজুল ইসলাম ওরফে ছোটন ওরফে মোহাম্মদ ওরফে ফাহিম। এই মামলার সব আসামি গ্রেফতার আছেন।

২০১৭ সালে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলার মধ্যেই ৩০০ মিটার দূরে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ওই অভিযানের এক পর্যায়ে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল থেকে বিকট বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। বিস্ফোরণে হোটেলের চতুর্থতলার রাস্তার দিকের অংশের দেয়াল ও গ্রিল ধসে নিচে পড়ে।

সেদিন সকালে নব্য জেএমবির জঙ্গি সাইফুল ইসলাম আত্মঘাতী হন। ওইদিন তিনি অবস্থান করছিলেন পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের চতুর্থতলার ৩০১ নম্বর কক্ষে। গ্রেফতার অভিযানের সময় আত্মঘাতী হয়ে মারা যাওয়া সাইফুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

হামলার পরিকল্পনা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই সময় কলাবাগান থানায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ ইমরুল সায়েদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
কেআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।