ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিদেশ যাওয়া আটকে গেলো সাফাতের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
বিদেশ যাওয়া আটকে গেলো সাফাতের

ঢাকা: রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীর ধর্ষণ মামলায় জামিনে থাকা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের বিদেশ যেতে অনুমতির আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। একইসঙ্গে ৬ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। সাফাতের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে চিকিৎসার জন্য সাফাতকে বিদেশ যেতে ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ অ্যালাউ করেছিলো। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলো। মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ৯টা হতে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে আমাকে (এক তরুণী), আমার বান্ধবী এবং এক বন্ধুকে আটকে রেখে সবাইকে মারধর করে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করে। ’

‘আমাকে ও আমার বান্ধবীকে রুমের মধ্যে জোরপূর্বক নেশাজাতীয় মদ্যপান করে আমাকে এক নম্বর আসামি (সাফাত) এবং আমার বান্ধবীকে দুই নম্বর আসামি (নাঈম) জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ’

‘তিন নম্বর আসামি সাকিফকে দুই বছর ধরে চিনি। তার ম‍াধ্যমে এক নম্বর আসামির সঙ্গে পরিচিত হই। গত ২৮ মার্চ তার জন্মদিন উপলক্ষে এক নম্বর আসামির গাড়ি চালক ও দেহরক্ষীকে পাঠিয়ে আমাদেরকে নিকেতন হইতে বনানীর রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। ’

হোটেলে ছাদে বড় অনুষ্ঠান হবে বলে আমাদেরকে নেওয়া হয়েছিলো উল্লেখ করে ওই ছাত্রী এজাহারে বলেন, ‘যাওয়ার পর ওরা ছাড়া আর কোনো লোক দেখি নাই। পরবর্তীতে জোরপূর্বক ধর্ষণের সময় গাড়িচালককে ভিডিও করতে বলে সাফাত। ’

‘ঘটনার প্রতিবাদের কথা বললে নাঈম আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমাদের বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়েছিলো আমাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য। এতে ভয় পেয়ে যাই এবং লোক লজ্জা ও মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করতে বিলম্ব হয়। ’

ওই বছরের ৬ মে এ মামলার পর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এখন মামলাটি নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।