ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুর্নীতির মামলা: জামিন হয়নি নেপাল চন্দ্রের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
দুর্নীতির মামলা: জামিন হয়নি নেপাল চন্দ্রের

ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জামিন হয়নি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহার।

তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি শেষে রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলটি নন প্রসিকিউশন মর্মে  খারিজ করে রায় দেন।

এর আগে এ মামলায় গত বছরের ২৬ নভেম্বর তাকে জামিন কেন দেওয়া হবে না সেই মর্মে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না,  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফৌজিয়া আক্তার পপি। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনশী মনিরুজ্জামান।  

আপনাদের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, 'এজাহার মতে দেখা যায়, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার প্রায় ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার উপসহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন খানজাহান আলী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে ২০১৭ সনের ২২ ফেব্রুয়ারি  মামলা দায়ের  করেন।

মামলায় খুলনা নগরের খানজাহান আলী থানার মিরেরডাঙা এলাকার সোনালি জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হোসেন, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও বর্তমানে প্রধান কার্যালয়ের জিএম নেপাল চন্দ্র সাহা, শাখার সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান, জ্যেষ্ঠ মুখ্য কর্মকর্তা শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সাবেক ডিজিএম সমীর কুমার দেবনাথকে আসামি করা হয়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এমদাদুল কয়েক দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ব্লক  ঋণ নেন। কিন্তু তিনি মালামাল না কিনে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। এতে ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।