ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ওএসডি নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ওএসডি নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

ঢাকা: কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি সময় ধরে ওএসডি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রাখা অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

গত ৮ জানুয়ারি কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি সময় ধরে ওএসডি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রাখা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যারা ১৫০ দিনের বেশি সময় ধরে ওএসডি আছেন, তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে জানিয়ে অমিত দাশগুপ্ত বলেন, যেসব সরকারি কর্মকর্তা ১৫০ দিনের বেশি সময় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিতে (ওএসডি) আছেন, তাদের স্বপদে পুনর্বহালের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি সময় ওএসডি রাখা অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও একজন সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ কমিটি ১৫০ দিনের বেশি অতিরিক্ত সময় ওএসডি আছেন যারা, তাদের আইনানুগ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৯০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।

২০১২ সালের ৩১ মে জনস্বার্থে সাবেক সচিব এম আসাফ উদ-দৌলা আদালতে এ সংক্রান্ত একটি রিট দায়ের করেছিলেন।

ওই রিট আবেদনের পর একই বছরের ৪ জুন বিধি লঙ্ঘন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ওএসডি করে রাখার প্রবণতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১০ বছরে ওএসডি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা কর্মকর্তাদের খতিয়ান চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

পরে সরকারের পক্ষ থেকে তালিকাও আদালতে দাখিল করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।