ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নদীর তীরে বর্জ্য ফেলা বন্ধে ডিএসসিসির মেয়রকে নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
নদীর তীরে বর্জ্য ফেলা বন্ধে ডিএসসিসির মেয়রকে নির্দেশ

ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব পাইপ লাইন সংযোগ রয়েছে তা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নদীর তীরে বর্জ্য/আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে যে বর্জ্য ফেলা হয়েছে তা অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বুড়িগঙ্গা নদী দূষণরোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা আবেদনে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনকারীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন।
বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই রিট করা হয়েছিল। সে রিটের শুনানি শেষে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ওই রায় বাস্তবায়নে গত বছরের শুরুতে এইচআরপিবি একটি সম্পূরক আবেদন করেন।

শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, ৮ বছর হলেও বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ বন্ধে দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিবাদীরা পদক্ষেপ নিলে বুড়িগঙ্গায় দূষণের মাত্রা এতো বৃদ্ধি পেতনা।

আদেশের পরে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতের রায় অনুসারে নদীর তীরে বর্জ্য/আবর্জনা ফেলা বন্ধ, অপসারণ করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের যেসব পাইপলাইন নদীতে সংযোগ আছে তা বন্ধ করা এবং যেসব ব্যক্তি এগুলো স্থাপন করেছে তাদের কাছ থেকে পাইপ লাইন বন্ধের খরচ আদায় করতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।