ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এএসপি আনিসুল হত্যা: মাইন্ড এইডের ৪ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
এএসপি আনিসুল হত্যা: মাইন্ড এইডের ৪ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে

ঢাকা: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় মাইন্ড এইড হাসপাতালের চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

বুধবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।



কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন-হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, লিটন আহাম্মদ ও সাইফুল ইসলাম পলাশ।

গত ১০ নভেম্বর এই ১০ জনের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ছয় আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।

স্বীকারোক্তি দেওয়া দুইজন হলেন- জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে মামলায় ছয়জন স্বীকারোক্তি দিলেন।

গত ১৬ নভেম্বর মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় ও ওয়ার্ড বয় সজীব চৌধুরী, ১৫ নভেম্বর কিচেন সেফ মাসুদ খান ও ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল এবং ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান ও মাইন্ড এইড হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় তানিফ মোল্লা পৃথকভাবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

এই মামলায় ঢাকার সরকারি মানসিক হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মঙ্গলবার দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন অপর একটি আদালত।  

পরিবারের সদস্যরা জানান, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবার।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উশৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ঘটনার পর হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার পরই আনিসুল করিমকে ৬ থেকে ৭ জন টেনে-হেঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। হাসাপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মাথার দিকে থাকা দুইজন হাতের কনুই দিয়ে আনিসুল করিমকে আঘাত করছিলেন। এ সময় একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।

ঘটনার পরদিন প্রথমে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আরও চারজনকে আটক করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১ বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। সর্বশেষ আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারে দায়িত্বে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।