কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার চারজনের রিমান্ড শুনানির দিন মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) ধার্য করেছেন আদালত। আটক চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে ছাত্রদ্বয়ের ১০ দিন এবং শিক্ষকদ্বয়ের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আমলি আদালতের বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন...মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর
গ্রেফতাররা হলেন- কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার ‘মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ (রা.)’ এর হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৭)।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বাংলানিউজকে জানান, কুষ্টিয়া শহরের নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারায় মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করেছি। বিজ্ঞ আদালত মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সেই সঙ্গে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
এনটি
