ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘দুদকের একই কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করা যাবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
‘দুদকের একই কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করা যাবে’

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় একই কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ ও শাহদীন মালিক।

খুরশীদ আলম খান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় একই কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আদালত কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। যেগুলো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে বোঝা যাবে। তবে এ রায়ের ফলে অনুসন্ধান ও তদন্তে একই ব্যক্তি হতে আইনি কোনো বাধা নেই।

গত ১৭ নভেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।

বেসরকারি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম চলতি বছরের এ রিট দায়ের করেন।

আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. শামসুল আলম। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মো. শামসুল আলম। অভিযোগপত্রে আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৩২ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় গত ৩ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ২৪(১) বিধি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন।

সংশ্লিষ্ট বিধিতে বলা হয়েছে, আইনের তফসিলভুক্ত কোন অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান এবং তদন্ত একই কর্মকর্তা দ্বারা সম্পন্ন করা যাবে।

এরপর ৯ সেপ্টেম্বর আদালত রুল জারি করেন। রুলে অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম চালানো সংক্রান্ত ২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর সংশোধিত বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রিট আবেদনকারীর বিরুদ্ধে চলমান মামলা কেন বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে জানতে চান আদালত।

রিটে বলা হয়, একই কর্মকর্তা কর্তৃক দুদকের মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত সংবিধানের ২৯ ও ৩০ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

অপরদিকে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনুসন্ধান কর্মকর্তা অভিযোগের অনুসন্ধান করে মেমো অব এভিডেন্স জমা দেন। এরপর তা কমিশনের লিগ্যাল উইংয়ে যায়। এরপর কমিশন অনুমোদন করলে এজাহার দাখিল করা হয়। নিয়োগ হয় তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা মামলার অভিযোগ তদন্ত করে মেমো অব এভিডেন্স জমা দেন। এটাও কমিশনের অনুমোদন লাগে। কমিশন সন্তুষ্ট হলে তখন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাই একই ব্যক্তি অনুসন্ধান ও তদন্ত কর্মকর্তা হলেও যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।