ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় স্বামীসহ তিনজনের ফাঁসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় স্বামীসহ তিনজনের ফাঁসি

ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির রায় ঘোষণা দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার তিন আসামি হলেন- নিহত গৃহকর্ত্রীর স্বামী আব্দুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা এবং শ্যালক তথা মুক্তার ভাই জনি।

গত ১০ জানুয়ারি এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিনই আদালত রায়ের জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

ঘটনার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন রাতে নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।  

ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক শামসুন্নাহার করিমের স্বামী আবদুল করিম ও করিমের তৃতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ঘটনার দুদিন পর গোপালগঞ্জ থেকে আরেক আসামি জনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩। এ মামলায় আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন আসামিই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০১৮ সালের ১৬ জুলাই এ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আলী হোসেন। অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বদলি হয়ে এ আদালতে আসে।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ১ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের পরীক্ষা ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার বিচার কাজ শেষ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।