ঢাকা: জুয়া, ক্যাসিনো, হাউজির সঙ্গে মানিলন্ডারিংয়ের আইনগত বিষয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম ও মুনমুন নাহার। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান ও শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারের ছয় মামলায় জামিন আবেদন করেন। ওই মামলার শুনানিতে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) আসামি পক্ষের কাছে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র, কমিটি ও অডিট রিপোর্ট চেয়েছিলেন। সে অনুসারে তারা মঙ্গলবার এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দেন।
পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, জুয়া, ক্যাসিনো, হাউজির সাথে মানিলন্ডারিং এর আইনগত বিষয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এসব আইনগত বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি হবে।
জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন। তার হাত ধরেই গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কথা জানায় সিআইডি।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানিলন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এলে সিআইডি তাকে ১৩ জুলাই সোমবার লালবাগ থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
ইএস/এএটি
