ঢাকা: বরিশালে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের হাতে আটকের তিনদিন পর আইন শিক্ষানবিশ রেজাউল করিমের (৩০) মৃত্যুর অভিযোগের ওপর বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, রেজাউল করিমের সহধর্মিনীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলে তখন শুনানি করা হবে।
গত ৫ জানুয়ারি রেজাউল করিম পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ডিবি উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। বরিশাল মহানগর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন রেজাউল করিমের বাবা ইউনুস মুনশি।
রেজাউলের বাবার করা অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ খান সড়কের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে রেজাউল করিমকে আটক করেন এসআই মহিউদ্দিন আহমেদ। এরপর রেজাউলের কাছে দুইজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম জানতে চান এসআই মহিউদ্দিন। কিন্তু রেজাউল নাম জানেনা বলে জানালে তাকে ধরে নিয়ে যায়। রেজাউলের পকেটে নেশাজাতীয় ইনজেকশন পাওয়া গেছে, এই অভিযোগে তাকে আটক দেখানো হয়। এরপর রেজাউলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে আহত রেজাউলকে থানার মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১ জানুয়ারি বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আদালত অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআইকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। এ অবস্থায় বিচারিক তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে রেজাউলের স্ত্রী।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তদন্তের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। তাই বাদীর ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
ইএস/এএটি
