ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সব আদালতে চালু হবে ই-ফাইলিং 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২১
সব আদালতে চালু হবে ই-ফাইলিং 

ঢাকা: ই-জুডিসিয়ারি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশের সকল আদালতে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে মামলা দায়ের করা হলে বিচারপ্রার্থী জনগণ ও আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হবে এবং বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতেই বিচারপ্রার্থী জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনা বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়াকে বেগবান করবে। বিচার বিভাগে বিচারপ্রার্থীর একসেস টু জাস্টিস নিশ্চিতকরণ ত্বরান্বিত করবে। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায়, করোনা মহামারিকালীন মানুষের ন্যায়বিচার নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এবং কারাগারে বন্দির সংখ্যা বিবেচনা করে আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ জারি করা হয় যা পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে পাস হয়। এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চু্্যয়াল কোর্ট চালু করা হয়- যা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় বিচার বিভাগের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ পরিকল্পনা ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি এখন একনেকে পাশের পর্যায়ে রয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তা উচ্চ আদালতের ডিজিটাইজেশনে আরেকটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

আনিসুল হক বলেন, ই-জুডিসিয়ারি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশের সকল আদালতে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে মামলা দায়ের করা হলে বিচারপ্রার্থী জনগণ ও আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হবে এবং বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতেই বিচারপ্রার্থী জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে। সুপ্রীম কোর্টে ডিজিটাল ফাইলিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল মামলা সংশ্লিষ্ট ফাইল দ্রুততার সঙ্গে অন লাইনে দায়ের, গ্রহণ ও অনুমোদন করা যাবে। ফলে সাশ্রয় হবে আদালতের কর্ম-ঘণ্টার।

আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল আর্কাইভিং সিস্টেমের মাধ্যমে ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সকল মামলার রায়ের কপি সংরক্ষণের যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে তা পর্যায়ক্রমে নথির ডিজিটাল আর্কাইভিং ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আদালতের নথি ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১ 
ইএস/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।