ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাংলালিংকের কাছে ১০ কোটি টাকা চান জেমস-মাইলস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
বাংলালিংকের কাছে ১০ কোটি টাকা চান জেমস-মাইলস

ঢাকা: অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের কাছে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন নগর বাউল খ্যাত ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মানাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ।  

কপিরাইট আইনের দুই মামলায় বাংলালিংকের চারজনের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবীরা এ কথা বলেন।

 

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল।  

এদিন অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস, প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর আদালতে হাজির হন। তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন স্থায়ী করার আবেন করেন।

শুনানিতে তাদের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘বাদীপক্ষের সাথে মামলা নিয়ে আপসের কথাবার্তা চলছে। তারা ৫ কোটি করে ১০ কোটি টাকা চেয়ে আসামিদের চিঠিও দিয়েছেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষ বৈঠকে বসবে। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে মামলা আপস হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় আসামিদের স্থায়ী জামিনের প্রার্থনা করছি। ’

শুনানি শেষে আদালত আসামিদের স্থায়ী জামিনের আদেশ দেন। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়। এই সময়ের মধ্যে উভয়পক্ষকে আপসের চেষ্টা করতে বলেছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, ‘গত ৩০ তারিখ আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ৬ তারিখ পর্যন্ত তাদের জামিন দেন আদালত। সোমবার তারা আদালতে এসে জামিন স্থায়ীর আবেদন করেন। ’  

১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের মানাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় মানাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ অভিযোগ করেন, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুটি আসামিরা তাদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  

অন্যদিকে জেমসও তার গাওয়া ‘দুখিনি দুঃখ করোনা’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’ ও ‘যার যার ধর্ম’ গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।

মামলার প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে গেছেন। তিনি আর দেশে ফিরবেন না বলে বাদীপক্ষ জেনেছে।

এজন্য বাদীপক্ষ তাকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন বলে জানান তাপস কুমার পাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
কেআই/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।