ঢাকা: সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগের মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠানকে বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আবদুল খালেক পাঠানকে আগাম জামিন দিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ৩১ অক্টোবর বিশেজ জজ আদালত তাকে জামিন দেন। ওই জামিন বাতিল চেয়ে দুদক ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তার জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাদের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাঁচ মামলায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
ইএস/এএটি
