ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জাকিয়া হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
জাকিয়া হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: গোপালগঞ্জে জাকিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ খুনের মামলায় স্বামীসহ চার জনের রায় পিছিয়ে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল।

কিন্তু ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক বেগম জেসমিন আরা বেগম রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা এ বিষয়টি জানান।

মামলার আসামিরা হলেন- জাকিয়ার স্বামী মোর্শেদায়ান নিশান, নিশানের ভাই এহসান সুশান, ভগ্নিপতি হাসান শেখ ও ম্যানেজার আনিছুর রহমান।

মোর্শেদায়ান নিশান মাছরাঙা টেলিভিশনের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক আমাদের গোপালগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মোর্শেদায়ান নিশান পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে ছিলেন। ১৩ জানুয়ারি আদালত তিন আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

জাকিয়া আক্তারকে খুনের ঘটনায় তার বাবা জালাল উদ্দিন মল্লিক চারজনের নামে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে নিশানের সঙ্গে জাকিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নিশানের ও তার পরিবারের সদস্যরা এক কোটি টাকা যৌতুকের জন্য জাকিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতো। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। সন্তানের কথা চিন্তা করে নির্যাতন সহ্য করতেন জাকিয়া।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে আসামিরা জাকিয়ার কাছে মোর্শেদায়ান নিশানের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার জন্য এক কোটি টাকা যৌতুক দাবি করেন। জাকিয়া যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা জাকিয়াকে জোর করে শোয়ার ঘর থেকে রান্নার ঘরে নিয়ে যায়। মোর্শেদায়ান নিশান অন্যান্য আসামিদের প্ররোচনায় কুপিয়ে হত্যা করেন।

মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ৯ জুন গোপালগঞ্জ জেলার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সওগতুল আলম চার জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা জজ আদালতে চার আসামির বিচার শুরু হয়। মামলায় সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি আসার পর আরও ১৩ জন সাক্ষ্য দেন। তাই চার্জশিটভুক্ত ২০ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন রায় থেকে উত্তোলন করে আবার আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৩ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।