ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পুরান ঢাকায় কেমিক্যালের গোডাউন, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
পুরান ঢাকায় কেমিক্যালের গোডাউন, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট ফাইল ছবি

ঢাকা: পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গোডাউন, কারখানা, দোকান আছে এমন সব দালানের তালিকা আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া শ্যামপুর ও টঙ্গীতে অস্থায়ী ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখাঁনে স্থায়ী ‘কেমিক্যাল পল্লী’ স্থাপনের অগ্রগতির প্রতিবেদনও দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র, রাজউকের চেয়ারম্যান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে অধদিপ্তরের মহাপরিচালক এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ প্রতিবেদন দিতে হবে।

জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

বেলা জানায়, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে  ৭১ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কোনো সদস্য ক্ষতিপূরণ পায়নি। ফলে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। পুনরায় এমন দুঘর্টনা রোধ করতে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও পুর্নবাসনের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং ভুক্তভোগী জনগণের পক্ষে মোছা. ফাতেমা আক্তার এবং মো. নাসির উদ্দীন এই রিট করেন।

পাশাপাশি ১১টি সংস্থাকে (সচিব, শিল্পমন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; চেয়ারম্যান, রাজউক; মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধদিপ্তর; মহাপরিচালক, বিস্ফোরক অধিদপ্তর; জেলা প্রশাসক, ঢাকা; ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়াসা;এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানিকে (ডেসকো)) বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ সব কেমিক্যাল গোডাউন, দোকান, কারখানা এবং ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না সে বিষয়ে রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে আদালত পুরান ঢাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবরাহ ও হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন এবং রাস্তা চওড়ার বিষয়ে মাস্টারপ্ল্যানের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন। আদালত বিপজ্জনক পদার্থের ব্যবহার, গুদামজাতকরণ ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ২০ ধারার অধীন বিধি প্রণয়ন  এবং চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে ও পুনর্বাসন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা জানতে চেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়:১৬৩৯ ঘণ্টা,১ ফেব্রুয়ারি,২০২২
ইএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।