ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বদলি সাজা খাটা ছোট সোহাগ রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
বদলি সাজা খাটা ছোট সোহাগ রিমান্ডে

ঢাকা: অন্যের রূপ ধারণ করে প্রতারণা, জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার মামলায় বদলি সাজা খাটা হোসেন ওরফে ছোট সোহাগের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম রিমান্ডের এই আদেশ দেন।



এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক সোহাগকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

সিএমএম আদালতে কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান এ তথ্য জানান।

জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলী এলাকায় হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১০ সালে গ্রেফতার হন বড় সোহাগ।

২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হন তিনি। ২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরের বছর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে নিজেকে বড় সোহাগ পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে, সম্প্রতি প্রকৃত অপরাধী বড় সোহাগ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।

মঙ্গলবার সোহাগ ও হোসেনকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ হাজির করা হয়। প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় বিচারক জেসমিন আরা বেগম বড় সোহাগ, হোসেন ও দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- আসল সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ, নকল সোহাগ, এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহীম হোসেন। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে মামলায় আসামি করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসমর্পণ করা আসামি প্রকৃত আসামি নয় মর্মে জেনেও তাকে মিথ্যা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকৃত আসামি সাজিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নথি উপস্থাপনের দরখাস্ত, জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামায় জাল দরখাস্ত দিয়ে এসব সৃজন করে তা সঠিক মর্মে দাবি করেন। তা ব্যবহার করে মিথ্যা ও ভুয়া ব্যক্তিকে প্রকৃত ব্যক্তি সাজিয়ে প্রতারণার আশ্রয়ে আদালত আত্মসমর্পণ করিয়ে একজন আরেকজনের নামে সাজা ভোগ করিয়ে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।