ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আপিল শুনানিতে উঠছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২২
আপিল শুনানিতে উঠছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা

ঢাকা: সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিলের রায়ের পর এবার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও জামায়াতের সাবেক রোকন মোবারক হোসেনের আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় উঠেছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে কার্যতালিকায় রয়েছে এ মামলাটি।

প্রথমে ১ নভেম্বর পরে ২ নভেম্বর এবং সবশেষে ৮ নভেম্বর মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। এখন নম্বর ক্রম অনুসারে এ মামলার শুনানি হবে।  

এ মামলায় আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মোবারক হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার এই রাজাকার কমান্ডারের মামলার রায়ে হত্যা, অপহরণ, জোরপূর্বক আটকে রাখা, নির্যাতন ও লুটপাটের ৫টির মধ্যে হত্যা-গণহত্যার দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ এ দণ্ডাদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

পরে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর মোবারক হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৮২ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ৮৬২ পৃষ্ঠার এ আপিল দাখিল করা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ১১টি মামলার রায় দেওয়ার পর ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-২ কে একীভূত করা হয়। এখন ১টি ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আপিলের পর যাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে তারা হলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর।

তবে আপিলে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডভোগ করছেন জামায়াতের আরেক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

এছাড়া ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযম ও আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আবদুল আলীম এবং মৃত্যুদণ্ডদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা আবদুস সুবহান মারা যাওয়ায় তাদের করা পৃথক আপিল অকার্যকর ঘোষিত হয়েছে।  

এদিকে আপিল বিভাগে জামায়াতের নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর ওই রায়ের পর কারাগারে মৃত্যু পরোয়ানাও পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তবে ২০২১ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুদণ্ডের রায় পুর্নবিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন এটিএম আজহার এবং ২২ অক্টোবর রিভিউ আবেদন করেন সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। এ দুটি রিভিউ এখন শুনানির অপেক্ষায়।

তবে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার এখনো শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন-আইন সংশোধন হলে জামায়াতের বিচার শুরু হতে পারে।

মোবারকের আপিল

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২ 
ইএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।