ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে জিএম কাদেরের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২২
‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে জিএম কাদেরের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা’

ঢাকা: মিথ্যা তথ্য দিয়ে জি এম কাদেরের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম।  

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আবেদনের বিষয়ে ১০ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এদিন শুনানিতে শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাদী জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা পরিচয় দিয়েছেন। আসলে জাতীয় পার্টিতে এমন পদ নেই। আছে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। বাদী মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও আদালতকে ভুল বুঝিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়েছেন। জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা। আদালতের এই আদেশের ফলে তার দলীয় রাষ্ট্রীয় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ আদেশের ফলে বিশৃঙ্খলাার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
 
এর আগে গত ৬ অক্টোবর তার পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী এই আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।

গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা এই মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

একই আদালতে মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। একই বিষয়ে ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালত বাদী নাফিজ মাহবুবের একটি মামলা সোমবার খারিজ করে দেন।  

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।  

এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।  

তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
কেআই/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।