ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মসলার ঝাঁঝেই শীত কাবু, সংক্রমণ থেকে মুক্তি

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
মসলার ঝাঁঝেই শীত কাবু, সংক্রমণ থেকে মুক্তি সংগৃহীত ছবি।

একে তো পৌষ মাস তার মধ্যে এসে গেছে শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় ঠাণ্ডা-কাশি লেগেই থাকে।

তবে ঘরে বসেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। রান্নাকে সুস্বাদু ও সুগন্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে বাহারি ধরনের মসলা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মসলা মস্তিষ্কের বিকাশেও ভূমিকা রাখে। আসুন জেনে নিই এই শীতে কীভাবে একবার রান্নাঘরে ঢুঁ মেরেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন।

জাফরান: জাফরান আপনার রান্নায় চমৎকার রং যোগ করার পাশাপাশি এর বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি তাৎক্ষণিকভাবে ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খোঁজেন তাহলে দুধে স্যাফরনের কয়েকটি আঁশ যোগ করে আপনার কপালে লাগান। এই কৌশলটি ঠাণ্ডার চিকিৎসার জন্য নিশ্চিতভাবে কার্যকরী। এই মসলাটি মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। এর শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম দুধে জায়ফল গুঁড়া, কিছু ফোঁটা মধু ও থেতলানো এলাচ যোগ করে খেলে শীতকালীন সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

হলুদ: শীতকালে প্রতিদিন এক গ্লাস হলুদ দুধ আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে দেবে ও বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ব্যাকটেরিয়া ও প্রদাহবিরোধী উপাদান বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

মৌরী: মৌরী ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় গুরুতর গলার সমস্যা ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় বিশেষভাবে কার্যকর। ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী সক্ষমতা থাকায় শীতের ঋতুতে এটি ফ্লু ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। দুটি মৌরী বীজ ১৫ মিনিট পানিতে সিদ্ধ করে চা বানিয়ে নিন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করুন। দিনে তিনবার এই চা পান করুন।

মেথি: আপনি কি লাড্ডু পছন্দ করেন? তাহলে মেথি, আদা, মৌরী ও গুঁড় দিয়ে লাড্ডু বানিয়ে ফেলুন। মেথি অ্যান্টিভাইরাল উপাদানে ভর্তি থাকে এবং ভাইরাস মেরে ফেলার ক্ষমতা থাকায় এটি গলাব্যথ্যা কমাতে পারে।

গোলমরিচ: এই মসলায় বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিপাকে সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই চমৎকার মসলাটি আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন।

জায়ফল: এই মসলাটি মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। এর শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম দুধে জায়ফল গুঁড়া, কিছু ফোঁটা মধু ও থেতলানো এলাচ যোগ করে খেলে শীতকালীন সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

লবঙ্গ: এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। একইসঙ্গে এটি প্রদাহবিরোধী, অ্যান্টিসেপটিক ও দাঁত ভালো রাখে। ওষধিগুণ থাকায় এটি বিশ্বব্যাপী রান্নাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।  

দারুচিনি: দারুচিনির স্বাস্থ্যগুণ অনেক। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্য নিরাময় বৈশিষ্ট্য আছে। এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। গরম পানিতে এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে এক চা চামচ মধু শীতের সকালের মহৌষোধ হতে পারে।

এলাচ: এলাচে রয়েছে খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তের দূষণ কমায় ও হজমে সহায়তা করে। এতে ভিটামিন ‘সি’ ও অন্য পুষ্টিগুণ রয়েছে। ঠাণ্ডার মধ্যে দিনে এক কাপ এলাচ চা আপনার মুড ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
এসআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।