রক্তে সুগার বাড়ছে? ডায়াবেটিসের জন্য মিষ্টি বন্ধ? দিন দিন বুড়িয়ে যাচ্ছেন? হাতের নাগালেই মুশকিল আসান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস মেথির পানি করুন, তাহলে ত্বকে ফিরবে জেল্লা ও হার্ট থাকবে বিন্দাস।
ওজন কমায়: মেথি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, ফ্যাট মেটাবলিজমে সহায়তা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে আর হজমে সহায়তা করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
প্রি-ডায়াবেটিক অবস্থায়: মেথি ইনসুলিন হরমোনকে রেগুলেট করে ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।
কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: ব্যাড কোলস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডকে কমিয়ে টোটাল লিপিড প্রোফাইলকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
মেটাবলিজম বাড়ায়: মেথি হজমজনিত যেকোনো সমস্যা ঠিক করে। মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ইমিউনিটি বুস্ট করতে সহায়তা করে।
ঠাণ্ডজনিত অসুখ সারায়: ঠাণ্ডজনিত যেকোনো সমস্যা, কফ, কাশি দূর করতে সাহায্য করে। মেথি শরীর থেকে টক্সিন শোষণ করে এবং বের করে দিতে সহায়তা করে।
চুল ও ত্বকের যত্নে: চুল ও ত্বক ভালো রাখে। চুল পড়া কমায় ও চুলের গ্রোথ বাড়াতে সহায়তা করে। ত্বকের গ্লো বাড়ায় এবং ব্রণের ওপর ভালো কাজ করে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে: নিয়মিত খেলে এটি টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্পার্ম কোয়ালিটির সঙ্গে সঙ্গে স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতেও সহায়তা করে।
মেথি খাওয়া যাদের জন্য বারণ: গর্ভবতী মা, স্পেশাল মেডিকেশন যেমন- ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস রোগী, ব্লাড প্রেশার, ব্লাড থিনিং, থাইরয়েড ইস্যু, অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রভৃতি ক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে হবে। বাচ্চা বা ছোটদের সরাসরি খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।
কতটুক পরিমাণ মেথি খাবেন: প্রায় এক চা-চামচ পরিমাণ ১৮-২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি খাওয়া যেতে পারে অথবা গুঁড়া করে ভিজিয়ে সেই পানি খাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে গুঁড়া করার সময় না ভেজে নেওয়াই ভালো। এছাড়া বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়, স্প্রাউট করে খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে। মেথির শাক খাওয়াও অনেক উপকারী।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এএটি