রান্নায় মসলা হিসেবে অনেক সময়ে মেথির দানা অর্থাৎ গোটা মেথি ব্যবহার করা হয়। শুধু মসলা নয়, এটি একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান।
ডায়েট বিশেষজ্ঞদের কথায়, যদি অঙ্কুরিত মেথি খাওয়া যায়, তা হলে একাধিক সমস্যার সমাধান হতে পারে। তাছাড়া অঙ্কুরোদগমের জেরে মেথির সেই পরিমাণ তিক্ততাও থাকে না। সহজেই হজম হয়। এবার বিশদে জেনে নেওয়া যাক মেথি খাওয়ার উপকারিতা!
মেথিতে আছে প্রাকৃতিক তন্তু, যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। দিনে দুইবার মেথি চিবাতে থাকলে বেশি না খেলেও পেট ভরা মনে হবে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা মেথি কাজে লাগাতে পারেন।
শীত একটু একটু করে আসছে। বাড়ছে সর্দি-কাশিও। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দি-কাশি পালাবে। লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।
চুল পড়া ঠেকাতে মেথি খেলে উপকার পাওয়া যায়। মেথি সেদ্ধ করে সারারাত রেখে তার সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত মাথায় মাখলে চুল পড়া কমে।
ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে মেথি, বিশেষ করে স্তন ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য মেথি কার্যকর।
মেনোপজ হলে নারীর শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। হরমোনের এই পরিবর্তনের কালে মেথি ভালো একটি পথ্য।
মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
অন্ত্রের নড়াচড়া বৃদ্ধি করে মেথি। যাদের পেট জ্বালা বা হজমে সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত মেথি খেতে পারেন। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। মেথি ঝরানো পানি খেলেও হজমের সমস্যা দূর হবে। এমনকি পেপটিক আলসার সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত মেথি খেলে পেটে কৃমি হয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। মেথি আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তস্বল্পতা, অর্থাৎ অ্যানিমিয়া রোগের পথ্য হিসেবে কাজ করতে পারে।
মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে ওষুধের বিকল্প হলো মেথি। সদ্য মা হওয়া নারীর জন্য মেথি উপকারী।
রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর অসাধারণ এক শক্তি থাকায় ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুব ভালো এই মেথি।
এই প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের জন্য, আরও বাস্তির জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এএটি