শীতে চুল নিয়ে বেশ ভোগান্তি হয় খুশকির জন্য। এসময় চুল খুশকিমুক্ত রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন।
জেনে নিন কীভাবে যত্ন নিয়ে খুশকির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন:
চা গাছের তেল
চা গাছের তেল থেকে তৈরি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও অন্যান্য চুলের প্রসাধনী মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। এটি খুশকি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ উপকারী।
ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার চা গাছের তেল চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।
কম প্রসাধনী ব্যবহার
যেহেতু শীতে ত্বক ও মাথার ত্বক শুকনো হয়ে যায় ও চুলও আর্দ্রতা হারায় তাই এ সময়ে চুলে খুব বেশি স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা পণ্যের রাসায়নিক ক্ষতিকারক পদার্থ মাথার ত্বকে চুলকানি ও ঘন ঘন খুশকির উদ্রেক করে।
বেশিবার চুল ধুবেন না
ঘন ঘন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে মাথার ত্বক শুকিয়ে খুশকি হতে পারে। গরম পানি কখনোই মাথায় ঢালবেন না।
হালকাভাবে ঘষুন
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার আলতোভাবে ঘষুন। নাহলে মাথার ত্বক চিরে যেতে পারে ও ফুসকুড়ি উঠতে পারে।
তেল গরম করে নিন
জলপাই বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। সাথে দু’এক ফোঁটা সুগন্ধি ল্যাভেন্ডার তেল যোগ করে দিন। হালকা ধরনের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আপনার চুল শুধু খুশকি মুক্তই হবে না শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় হবে।
ভালোভাবে পরিষ্কার করুন
খুশকি মূলত চুল ভালোমতো না ধোয়ার কারণে বেশি হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও যথেষ্ট বিশ্রাম গ্রহণ করুন। খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে চুল ধুতে যাবেন না। খুশকি তাড়াতে লেবু পানি ব্যবহার করতে পারেন।
জবা ফুলের মাস্ক
৫-৬টি জবা ফুল গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। ফুলগুলো ব্লেন্ড করুন ও সামান্য পানি যোগ করে ঘন পেস্ট করে নিন। পেস্টটিতে ৩ চা চামচ গরম নারিকেল তেল মিশিয়ে মাথার স্কাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১-২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যামিনো এসিড মাথার ত্বককে খুশকিমুক্ত করবে ও চুলের গোড়া মজবুত করবে।
মেথি মাস্ক
অর্ধেক কাপ দইয়ের মধ্যে ২ টেবিল চামচ শুকনো মেথি বীজ, ২টি আমলা ও ৩-৪টি নিমের পাতা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মিশ্রণটি ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। মাস্কটি স্কাল্পে ম্যাসাজ করে ২ ঘণ্টা রাখুন ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩