নারী দিবসের কথা সবাই জানলেও পুরুষ দিবসের বিষয়ে অনেকেই জানেন না। যারা জানেন না তারা জেনে নিন ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস।
শুরুর বছরগুলোতে পুরুষ দিবস ক্যারিবীয় অঞ্চলে দারুণ সমর্থন পেয়েছিল। ক্যারিবীয় এ উদ্যোগটি এখন সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, হাইতি, জ্যামাইকা, হাঙ্গেরি, মাল্টা, ঘানা, মলদোভা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়। দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯৯৯ সাল থেকে।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। পুরুষদের অন্যদের সঙ্গে মিশতে ও যোগাযোগ করতে উত্সাহিত করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।
এ বছর পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘জিরো মেল সুইসাইড’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে এ ঘটনা ঘটছে।
পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।
পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য নারী দিবসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। পুরুষের সামাজিক অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
এএটি