আমলকি ফলটির রোগ নিরাময় ক্ষমতা না থাকলেও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। আমলকি ভেষজ হিসেবে এর জনপ্রিয়তা পুরোনো।
এই চাটনি সংরক্ষণ করা যায় দীর্ঘদিন। প্রতিদিন দুপুরের খাবারের সঙ্গে যোগ করতে পারেন আমলকির চাটনি। এতে পুষ্টি মিলবে ও মুখে রুচিও বাড়াবে। তাহলে চলুন আমলকির চাটনি বানানো পদ্ধতি জেনে নিই—
যা লাগবে
আমলকি, সরিষার তেল, লবণ, চিনি, পাঁচফোড়ন, গোটা লাল মরিচ, হলুদ, সরিষা বাটা পরিমাণ মতো।
যেভাবে তৈরি করতে হবে
আমলকি ধুয়ে পানি মুছে নিতে হবে। আমলকির চার টুকরো করে কেটে নিতে হবে। হলুদ ও লবণ মেখে রোদে হালকা শুকিয়ে নিন। এরপর প্যানে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন দিতে হবে। তার ভেতর আমলকি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এরপর লবণ, চিনি ও সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে আমলকি নরম হলে নামিয়ে নিন। বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করুন। মাঝেমধ্যে আমলকির চাটনি রোদে রাখতে ভুলবেন না।
আমলকিতে মিলবে যে উপকারিতা:
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকি সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে এক চামচ আমলকির গুড়া মিশিয়ে খেলে চোখের ছানির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়। ফোড়ন দেওয়া আমলকির রস পান করলে জ্বর কমানো যায়। এছাড়া, দাঁতে ব্যথা ও ক্যাভিটি হলে আমলকির রসে সামান্য কর্পূর মিশিয়ে মাড়িতে লাগালে স্বস্তি পেতে পারেন।
মুখের দাগ-ছোপ দূর করে সৌন্দর্য বাড়াতে জন্য আমলকি উপকারী। এর পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগালে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়। বলিরেখাও কমে যায়।
নিয়মিত এর রস পানের ফলে কোলেস্টেরেলের স্তরও কমানো সম্ভব হয়। এর ফলে শরীর সুস্থ থাকে। এতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে হৃদয়ের কার্যকরিতা যথাযথ থাকে।
শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন অ্যাস্থমা নিরাময়ে আমলকি উপযোগী। এর পাশাপাশি ডায়বিটিজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও পাচনতন্ত্রের সুষ্ঠু কার্যকরীতার জন্য আমলকি দায়ী। লিভার সুস্থ রাখতে আমলকি সহায়ক। এর ফলে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে নির্গত হয়।
ভিটামিন ‘সি’ ছাড়াও আমলকিতে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। ফলে শরীরে পুষ্টির জোগান অব্যাহত থাকে।
চুলের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে আমলকি। এতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন চুল বড় করে, চুল পড়া রোধ করে ও গোড়া মজবুত রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
এএটি