ষড়ঋতুর পালাবদলে চলে এসেছে শীতকাল। হিম হিম এই সময়ে গাছ হয়ে পড়ে পত্র-পুষ্পহীন শুকনো।
অ্যাভোকাডো অয়েল
উচ্চমাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায় অ্যাভোকাডো অয়েলে। নিয়মিত এই তেল ত্বকে ম্যাসাজ করলে ত্বক হবে নরম। এছাড়া বলিরেখা কমাতেও এই তেল কার্যকর।
ল্যাভেন্ডার অয়েল
ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করতে ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। এটি ব্রণ থেকেও মুক্তি দেয়।
তিলের তেল
শীতকালে ত্বকের যত্নে তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি হালকা, গন্ধহীন ও সহজে ত্বকে মিশে যায়। এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ত্বক রাখে কোমল ও সুন্দর।
অলিভ অয়েল
ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকর। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বলা হয় একে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ম্যাসাজ করতে পারেন ত্বকে।
আমন্ড অয়েল
অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক যাদের, তারা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন আমন্ড অয়েল। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন ফেস প্যাকে মিশিয়েও ব্যবহার করা যায় আমন্ড তেল।
জোজোবা অয়েল
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ জোজোবা অয়েলে আরও রয়েছে কপার এবং জিঙ্ক। এসব উপাদান ত্বকের কোষ ভালো রাখে। এছাড়া খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এই তেল।
সরিষার তেল
এই তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল গুণ আছে, যা শীতকালে ত্বকের যত্নে কার্যকরী। ম্যাসাজ করলে বলিরেখা দূর হয়। শরীরের তীব্র গন্ধ দূর করতেও সরিষার তেল খুব কার্যকরী।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল শুধু চুলের জন্যই উপকারী নয়, ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ এই তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এটি ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে।
বাদামের তেল
বাদাম তেল ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো আমাদের ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল ম্যাসাজ করলে তা মুখের দাগ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে। এছাড়া নিয়মিত মাথা ম্যাসাজ করলে চুল মজবুত ও সুন্দর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
এএটি