দেশে শীতের দেখা মেলে বড়জোর দুমাস, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি। তাই শীতকে উপভোগ করতে হলে এই কয়েকটা দিনই সময় আমাদের হাতে, কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় একটু ঠাণ্ডাই আমাদের কাবু করে দিচ্ছে, শীত উপভোগ করাতো দূরের কথা, শীতে আমরা যেমন যুদ্ধ করি তেমনই ঠাণ্ডা একটু বেশি পড়লেই জবুথবু হয়ে বসে থাকি।
শরীরে আয়রন খুবই দরকারি একটি উপাদান। রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে এই আয়রন। তাই শরীরে আয়রনের মাত্রা যদি কমে যায়, তাহলে সবসময় ঠাণ্ডা লাগতে পারে।
আমাদের শরীরে যখন রক্তসঞ্চালন সঠিকভাবে হয় না, তখন হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এমনকি সারাক্ষণ শীত শীত ভাবও লাগতে পারে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে না হলে হৃদরোগেরও সম্ভাবনা হতে পারে।
অতিরিক্ত মাত্রায় একাকিত্ব, বিষণ্নতা, ক্লান্তিও ঠাণ্ডা লাগার একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদি আমাদের সঠিকভাবে ঘুম না হয়, তাহলে শরীরের তাপমাত্রা পড়তে শুরু করে। শরীরকে সুস্থ রাখতে ঘুম খুবই জরুরি। যা আমাদের শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। তাই কম ঘুম ঠাণ্ডা লাগার গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ।
বিজ্ঞানীদের মতে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের একটু বেশিই ঠাণ্ডা লাগে। তাই শীতকাল ছাড়াও অন্যান্য সময়ে মেয়েদের ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা বোধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
মেদ শরীরে গরম ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই যে ব্যক্তির ওজন কম, তার ঠাণ্ডা বেশি লাগে, যার ওজন বেশি তার তুলনায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
এএটি