আপনি ডাল পছন্দ করুন আর না করুন বাঙালি হলে আপনার পাতে ডাল থাকবেই। হোক তা দুই-একদিন পর পর।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
আমরা প্রায়শই ডাল-ভাত বা ডাল রুটি খেতে পছন্দ করি। ডালেরও সর্বাধিক প্রোটিন থাকে। প্রতিদিন খেলে আমাদের শরীরে শক্তি জোগায় এবং রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডাল প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। এতে করে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত উপাদানগুলো আলাদা হয়ে যায়। ডাল খাওয়া আপনাকে সঠিক পরিমাণে শক্তি ও পুষ্টি দিতে পারে। আবার ডাল খেলে ক্ষুধাও কমে।
স্বাস্থ্যকর কোষ
ডালে প্রোটিন, আয়রন ও ফোলেট থাকায় নিয়মিত ডাল খাওয়াও নিশ্চিত করে যে আপনার কোষগুলো মেরামত-পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত সুস্থ আছে। আয়রন রক্তাল্পতা হওয়ার ঝুঁকিও কমাতে পারে। প্রতিদিন ডাল খেলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
হার্টের সুস্থতা
ডাল হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডাল কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে সেই সাথে রক্তচাপও কমায়। প্রতিদিন ডাল খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ছোলায় ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যারা নিরামিষ খাবার খান, তাদের দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে ছোলা।
যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে মসুর ডাল। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফাইবার পাওয়া যায়। মসুর ডালে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণও ভালো।
মুগ ডাল কোলেসিস্টোকাইনইন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে বিপাক হার বাড়ে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপার ও ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্সে ভরপুর মুগ ডাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সব ডালের মধ্যে অড়হর ডালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। পাশাপাশি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’ থাকে। এই ডালে খুবই কম পরিমাণে ফ্যাট এবং ক্যালরি রয়েছে। এতে থাকা আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম কর্মশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
ডাল খেলে অনেকের পেটে গ্যাস হতে পারে। সঠিক নিয়মে ও সময় মেনে খেলে তারা ডাল খেয়েও এসিডিটি মোকাবিলা করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এএটি