সুস্থ থাকা মানেই কিন্তু শরীর সুস্থ থাকা। কারণ শরীরে মূল কাণ্ডারি হলো হার্ট।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো জেনে নিন:
অতিরিক্ত ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। দুর্বলতা হলো রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল, আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে। এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত যদি বুকে, কাঁধে, হাতে প্রায়ই ব্যথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
জ্বর অনেক রোগের উপসর্গ নিয়ে আসে। হার্ট অ্যাটাকের আগে অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তারা হালকা জ্বরে ভুগছেন। যদি নিশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা যবে না।
সুস্থ থাকতে...
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন সঠিক মাত্রায় থাকতে হবে। অতিরিক্ত ওজন যেমন আমাদের সুস্থতার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতি কম ওজনের ঝুঁকিও কিন্তু কম নয়
সঠিক পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, মিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক ভাবেই সুস্থ থাকতে পারি। আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি হার্ট অ্যাটাকের বিরুদ্ধে।
হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে
রোগীর শরীরের পোশাক আলগা করে দিতে হবে। রোগীকে খোলা জায়গায় আলো বাতাসযুক্ত রুমে শুয়ে বিশ্রাম করতে দিতে হবে এবং যাতে ভয় না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘেমে গেলে অল্প ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর ভালোভাবে মুছে দিতে হবে।
সাধারণত হার্ট অ্যাটাক ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রোগীকে খুব দ্রুত এবং জোরে ঘন ঘন কাশি দিতে হবে যেন কাশির সাথে বেশি পরিমাণে কফ বা থুতু বের হয়ে আসে।
প্রতিবার কাশি দেওয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিতে হবে। এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঘন ঘন অর্থাৎ দুই সেকেন্ড পর পর কাশি এবং দীর্ঘশ্বাস নিতে হবে।
দীর্ঘশ্বাস ফুসফুসের মধ্যে অক্সিজেন পেতে সাহায্য করে এবং কাশি বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রাথমিক সেবা দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চা করলে হার্ট মজবুত থাকে। ঝট করে কোনো সমস্যা হতে পারে না। তাই হার্ট ভালো রাখতে শরীরচর্চা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এএটি