একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন হয়তো, যখন আমরা চিকিৎসকের কাছে যাই তারা জিভ ভালো করে পরীক্ষা করে থাকেন। কারণ, তারা মনে করেন জিভের রং, জিভের স্বাস্থ্য দেখেই বোঝা যায় কতটা সুস্থ আপনি।
অনেকেরই মুখে দুর্গন্ধ হয়। তার প্রধান কারণ হতে পারে অপরিষ্কার জিভ। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করলে দুর্গন্ধের সমস্যা কমে।
ময়লা জমে থাকলে জিভের স্বাদকোরকগুলো ঢেকে যায়। ফলে স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা কমতে থাকে। জিভ পরিষ্কার থাকলে খাবারের স্বাদ বেশি পাওয়া যায়।
জিভের ময়লায় এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যা দাঁতের ক্ষতি করে। তাই দাঁতের ক্ষয় আটকাতেই নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করা উচিত।
হজমের প্রক্রিয়াটি শুরু হয় মুখ থেকেই। জিভে ময়লা জমলে সব পাচন রস ঠিক করে খাবারে মিশতে পারে না। ফলে হজমের সমস্যা হয়। জিভ পরিষ্কার থাকলে হজমশক্তি বাড়ে।
প্রতি রাতে ঘুমের সময়ে মুখের মধ্যে বিভিন্ন টক্সিন বা দূষিত বস্তু জমতে থাকে। সকালে জিভ পরিষ্কার করলে সেগুলো দূর হয়। এগুলো জমে থাকলে তার প্রভাব পড়ে শরীরের নানা অঙ্গের ওপর। সেসব অঙ্গের কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
জিভ পরিষ্কার করবেন যেভাবে
দাঁত ব্রাশ করার সময় জিভছলা দিয়ে পরিষ্কার করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এছাড়া মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। যদি খাবার খাওয়ার সময় জিভে স্বাদ না পান, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
এএটি