আমাদের চোখের যে সাদা অংশ আছে তা লাল হয়ে যাওয়া, লালচে বা গোলাপি হয়ে যাওয়াকে চোখ ওঠা বলে। মূলত রোগটির নাম কনজাংটিভাইটিস।
চোখ ওঠার কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া। রাসায়নিক পদার্থ-শ্যাম্পু, ধুলো ও ধোয়া। এলার্জি-ধুলো। চোখ ওঠা যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া হয় তা সহজেই আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সুস্থ মানুষে ছড়িয়ে পড়ে।
কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ
চোখের সাদা অংশ ও চোখের পাতার ভেতরের অংশ লাল হয়ে যাওয়া। চোখ দিয়ে পানি পড়া। ঘন হলুদ বর্ণের ডিসচার্জ যা চোখের পাতার গায়ে লেগে থাকে, বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এটা বেশি দেখা যায়। এছাড়া চোখ চুলকানো। চোখে ঝাপসা দেখা। আলোতে তাকাতে না পারা।
কনজাংটিভাইটিসের উপসর্গ কমানোর উপায়
কনজাংটিভাইটিসের উপসর্গ দেখা দিলে চোখকে ধুলোবালি ও অন্যান্য উত্তেজক পদার্থের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন। কনট্রাক লেন্স পড়লে তা খুলে রাখুন।
কৃত্রিম চোখের পানি আরটিফিসিয়াল টিয়ার চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে চোখের চুলকানিসহ অন্যান্য উপসর্গ প্রশমিত হয়।
কীভাবে কনজাংটিভাইটিস ছড়ানো প্রতিরোধ করবেন
আক্রান্ত চোখে হাত দেওয়া বা কচলাবেন না। ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
চোখ থেকে নিঃসৃত ডিসচার্জ পরিষ্কার করুন (টিস্যু বা পরিষ্কার তুলা দিয়ে) এবং সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
বিছানার চাদর বালিশ, টাওয়াল ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
চোখে মেকআপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
অন্যের ব্যবহার করা কনট্রাকট লেন্স ব্যবহার করবেন না।
চোখে গ্লাস পড়ুন। অন্যের ব্যবহার করা টাওয়াল ও গ্লাস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
চোখের ড্রপ ব্যবহার করার পর হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
আক্রান্ত চোখে আই ড্রপ ব্যবহার করার সময় তা ভালো চোখে ব্যবহার করবেন না।
আপনার শিশুর চোখ উঠলে তাকে স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত রাখুন।
সতর্কতা
আগুন ও তাপ, ধুলোবালু, চড়া আলো বা রোদ এড়িয়ে চলা জরুরি।
ময়লা-আবর্জনাযুক্ত, স্যাতসেঁতে জায়গা এড়িয়ে চলা জরুরি।
অপরিষ্কার হাত বা কাপড় দিয়ে চোখ মুছবেন না।
এই সময় নদী বা পুকুরে স্নান করা বিপজ্জনক হতে পারে! যতদিন না কনজাংটিভাইটিস পুরোপুরি সেরে যাচ্ছে, ততদিন অধিকাংশ সময় চোখে কালো চশমা পরে থাকুন। এই প্রতিবেদন সাধারণ তথ্যের জন্য আরও বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
এএটি