সবারই কম-বেশি কোনো না কোনো বদভ্যাস আছে, তার মধ্যে একটা হলো শরীর বেশি খারাপ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া। মাঝেমধ্যে শরীর হয়তো একটু বেশিই খারাপ লাগে, একটু বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যায়।
গলা ও বুক জ্বালাপোড়া, টক টক ঢেঁকুর ওঠা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ। সাধারণত সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া, ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক হয়।
হৃদরোগের উপসর্গগুলো হলো, বুকে ব্যথা, নাড়ির গতি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিকতা শরীরের কিছু কিছু জায়গায় নীল হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন ইত্যাদি।
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া হচ্ছে ডায়াবেটিস। বারবার পানির পিপাসা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, শরীর দুর্বল লাগা, ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং সকালের প্রথম প্রস্রাব একটি স্বচ্ছ পাত্রে রেখে রোদে দিলে যদি ৪ ঘণ্টার মধ্যে তলানিতে (প্রায় ৭০ ভাগ) জমে, তবে বুঝতে হবে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
জন্ডিসের উপসর্গ হচ্ছে শরীর ও চোখ ফ্যাকাসে হলুদ হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া, শরীর খুব ক্লান্ত লাগা ও খাবারে অরুচি।
আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হলে তার প্রথম শর্তই হলো রুটিন মেনে চলা। অর্থাৎ খাওয়া থেকে শোয়া সবকিছুই যেন হয় সময় মেনে। তাহলে বেশ কতগুলো অসুখ আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না। তেমনই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন আপনি। এছাড়া উপসর্গগুলো লক্ষ্য করুন, যদি নিয়মিত এর যেকোনোটি হতে থাকে, অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
এএটি