রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে ঘুমানোর অভ্যাস করেছিলেন এক তরুণী। তা থেকেই সারা জীবনের মতো শ্রবণশক্তি হারাতে হয় তাকে।
পেশায় ব্যক্তিগত সচিব, বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত ওয়াং হঠাৎ এক দিন খেয়াল করেন, অফিসে সহকর্মীরা সকলেই মুখ নাড়ছেন, কিন্তু কারও কথাই তিনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন না। প্রথমে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলাকালে ঊর্ধ্বতনদের কোনো কথা একেবারে শুনতে না পাওয়ায় ওয়াং তৎক্ষণাৎ স্থানীয় হাসপাতালে ছোটেন। কানের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, নিয়মিত কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শোনার অভ্যাসে ওয়াংয়ের বাঁ কানের শ্রবণশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ওয়াংয়ের চিকিৎসক লি টাও জানিয়েছেন, কানের স্নায়ুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে এ ধরনের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। খুব জোরে গান শুনলেই যে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এমনটি নয়। টানা অনেকক্ষণ ধরে গান শুনলেও একই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কানের স্বাস্থ্যের জন্য লি সবাইকে ‘৬০-৬০’ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ গান বা যন্ত্রসংগীত যা-ই শুনুন, তা একটানা ৬০ মিনিটের বেশি শোনা যাবে না এবং শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৪
আরএইচ