সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করাই হলো সানস্ক্রিনের মূল কাজ। সানস্ক্রিনের ব্যবহার না করলে ত্বকে অকালেই বয়সের ছাপ পড়ে, ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, ত্বকের কালচে দাগ পড়ে।
ত্বকের সব খোলা জায়গায় যেমন মুখ, ঘাড়, কান, হাত এবং পায়ে সানস্ক্রিন লাগানো উচিত। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এক হয় না। সানস্ক্রিন ত্বককে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করলেও, সানস্ক্রিন মাখা মাত্র ত্বক ঘামতে শুরু করে। এখন যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে এমনই ঘাম বেশি হয়। এর ওপর সানস্ক্রিন মাখলে আরও তীব্র ঘাম হয়। সানস্ক্রিনের ব্র্যান্ড পরিবর্তন করলেও খুব একটা সুফল মেলে না। তাহলে এই পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন?
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় এসপিএফ দেখে নেবেন। অনেকেই মনে করেন যে, বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ট্যান রোধ করা যায়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। সব সময় আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে এসপিএফ নির্ভর করুন।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নিন। ম্যাট থেকে শুরু করে জেল, স্প্রে, ভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন বাজারে পাওয়া যায়। আপনার ত্বক অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে প্রতিরোধ করতে পারবেন ঘামের সমস্যা।
বাইরে বেরোনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। এরপর দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।
যদি সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর তীব্র ঘাম হয় তাহলে সানস্ক্রিনে পানি মিশিয়ে মাখুন।
সানস্ক্রিনের সঙ্গে পানির সংমিশ্রণ সানস্ক্রিনের রাসায়নিকের ঘনত্বকে লঘু করে দেবে। উপরন্তু পানি ত্বকের রোমকূপকে ঠাণ্ডা রাখবে। এতে ঘাম কম হবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে যদি ঘাম হয় তাহলে কখনও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করবেন না। তার পরিবর্তে ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, বিশেষত তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিরা। এতে ত্বকও ভালো থাকবে এবং ঘাম হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
এএটি