প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা থাকবেই। সকাল থেকে শুরু হয় আপনার অফিস, সন্তানের স্কুলসহ বিভিন্ন কাজ।
নিজের জীবনের প্রতিটি দিনকে কয়েক ভাগে ভাগ করুন। যেমন অফিসের জন্যে সব মিলিয়ে ১০ ঘণ্টা, সংসারের জন্যে রাখুন দেড় ঘণ্টা এবং সন্তানের জন্যে আড়াই ঘণ্টা রাখুন। একা সব কাজ সামাল দিতে না পারলে একজনের সাহায্য নিন। তাহলে দেখবেন সবার জন্যে সময় থাকছে। আর হ্যাঁ এসব কিছুর মাঝে নিজের জন্যে আলাদা সময় বের করতে ভুলে যাবেন না যেন!
অফিসের কাজ বাড়িতে নয়
অনেক নারীই অফিসে অনেক বড় বড় দায়িত্ব সামলান। তাদের ওপরে খুব চাপ থাকে। তাই অনেক সময়ে অফিসের কাজ বাড়ি বয়ে আনতে হয়। কিন্তু এটা ভুল। তাই এবার থেকে অফিসের কাজ অফিসেই করার চেষ্টা করুন। বাড়িতে আনবেন না। অফিস থেকে বেরনোর পরে শুধুই নিজের এবং পরিবারের কথা ভাবুন, দেখবেন জীবন সহজ হবে।
লাঞ্চ ব্রেকে ভিডিওকল
অফিসের লাঞ্চ ব্রেকে বা টি ব্রেক সন্তানকে ভিডিও কল করতে ভুলবনে না। ভিডিও কলে তাকে দেখুন। দুই একটা গল্প করুন। এতে তার মনে দূরত্ব মাঝেমাঝে তার সঙ্গে ফোনে কথাও বলুন। এতে আপনারও মন শান্ত হবে আর ছোট সোনামণিও মুখেও হাসি ফুটবে।
মন খারাপ নয়
আপনি অফিসের কাজ করেন, বাড়ির কাজ সামলান এবং সন্তানের দায়িত্বও পালন করেন। তাই সব সামলে মাঝেমধ্যে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সমাজ কথা শোনাতে ছাড়বে না! তাই চারপাশে যেই যাই বলুন না কেন, তাদের কথা ধরে মন খারাপ করবেন না। কারণ আপনার জীবনের সামান্য দায়িত্বও কেউ নেবেন না। তাই আপনাকেই লড়তে হবে। নিজেকে ভালো রাখতে হবে এবং সন্তানের জীবনও গড়ে তুলতে হবে।
রাতের খাবার একসঙ্গে
পরিবারের সবাই একসঙ্গে নির্ধারিত সময়ে রাতের খাবার খেতে চেষ্টা করুন। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত সন্তানের জন্য সেই সময়টুকু বরাদ্দ রাখুন। নাশতার টেবিলের মতো রাতের খাবারের সময়ও সন্তানের সঙ্গে গল্প করুন।
রাতে সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা
রাতে বিছানায় শুয়ে সন্তানকে গল্প শোনান। রূপকথা না হোক, অন্য কোনো গল্প হতে পারে। নিজের শৈশবের কথা, পুরোনো দিনের মানুষের কথা কিংবা হাল আমলে অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেমের কাহিনিও হতে পারে। ঘুমিয়ে পড়ার আগে যেন সন্তান আপনার স্পর্শ পায়। এই ছোট্ট সময়টুকু সন্তানের জন্য মূল্যবান রসদ হয়ে ওঠবে। দৃঢ় হবে আপনাদের পারস্পরিক বন্ধন।
ছুটির দিনে একসঙ্গে
সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে বের হোন। সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকলে কাছে কোথাও ঘুরে আসুন। সন্তানের প্রিয় খাবার খেতে পারেন একসঙ্গে। দেখতে পারেন প্রিয় কোনো সিনেমা। সারা দিন একসঙ্গে থাকুন। নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব দূর করে ঝালিয়ে নিন পারস্পরিক আন্তরিকতার সম্পর্ক।
জীবনে ব্যস্ততা, প্রতিদিনের নানা ঝামেলা ইত্যাদি থাকে। তার মধ্যেও যত্ন করে সন্তানের জন্য তুলে রাখুন কিছু চমৎকার মুহূর্ত। প্রযুক্তিনির্ভর বিনোদনে সন্তান অভ্যস্ত না হোক, খানিকটা মানবিক আর আন্তরিক থাকুক আপনার সন্তান। ঘরে ফেরা তার জন্য আনন্দ আর স্বস্তির হোক।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
এএটি