আমাদের জীবন চলার পথে টেনশন থাকবেই। একটানা টেনশনের কুপ্রভাব কিন্তু আমাদের শরীর ও মন— উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।
যেকোনো কাজ করার আগে পরিকল্পনা মাফিক এগোনো উচিত। এতে কাজের চাপও কমবে এবং কাজটিও গোছানো হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, ইয়োগা করলে টেনশন কমানো যায় এবং শরীরকে চাঙা করতে পারে নিমিষেই। আর শরীর ফিট তো মনও ফিট।
কম্পিউটারে বা টিভিতে দেখুন প্রিয় কোনো মুভি, খেলুন গেইমস্, সুর হোক আর নাই হোক গেয়ে উঠুন পছন্দের গান অথবা মিউজিকের ছন্দে কিছুক্ষণ হাত-পা হেলিয়ে দুলিয়ে নাচতেও পারেন।
যতটা পারা যায় হাসি-খুশি থাকুন, হাসি আমাদের টেনশন বাড়ানো হরমোনের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া যান্ত্রিক এই জীবনে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতেও হাসি যোগায় প্রাণশক্তি!
প্রিয় লেখকের উপন্যাস, কবিতার বই পড়ুন। পড়ার অভ্যেস করলে এটি মনকে হালকা করার সঙ্গে সঙ্গে জানার জগৎটাকেও করবে বিশাল। দুশ্চিন্তা থেকে মনযোগ সরাতে আনন্দদায়ক কোনো স্মৃতির ভেলায় বেরিয়ে আসতে পারেন কিংবা প্রিয় মুহূর্তের ছবির অ্যালবামে চোখ বুলাতে পারেন।
পেইন্টিং বোর্ডে সবগুলো রং এঁকে ফেলুন রংধনু। ডায়েরিতে লিখে রাখুন মনের সব বলা না বলা কথা। প্রকৃতি আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। লেকের ধারে, ঝিলের পাড়ে কিংবা সবুজ চত্বরে যেখানে যেতে মন চায় ঘুরে আসুন। পথ থেকে কুড়িয়ে নিন একটি-দুটি বকুল বা ঘাস ফুল... চাইলে বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে দুশ্চিন্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।
এরপরও যদি দুশ্চিন্তা নামক টেনশন দূর না হয় তবে লক্ষ্য করুন, দীর্ঘদিন কোনো বিষয় নিয়ে টেনশন করলে কিন্তু আমাদের শরীর এবং মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৪
এএটি