অভিমান, ভয় বা ব্যথা পাওয়ার পর কোনো শিশুর মুখের দিকে তাকালে তখন সে ঠোঁট ফুলিয়ে কান্না জুড়ে দেয়। অভিমান হলে নীরবেই চোখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে খুদের।
* মা-বাবার স্পর্শ পেলে শিশু নিরাপদ বোধ করে ও শান্ত হয়। এতে উভয়ের শরীরের তাপমাত্রা, হার্ট রেট ও স্ট্রেস হরমোন স্থির হয় এবং অক্সিটোসিন হরমোনকে উদ্দীপিত করে যা মা-বাবার ও সন্তানের বন্ধন ও ভালোবাসাকে দৃঢ় করে।
* শিশুকে কোলে নিয়ে আলতো করে হাত চাপড়ে তাকে আশ্বস্ত করুন যে, সে একদম ঠিক আছে। তার ভয়ের কিছু নেই। মা ও বাবা তার পাশে আছে।
* শিশুর অবস্থান পরিবর্তন করুন। শোয়া অবস্থায় শিশু কান্না করলে তাকে বসিয়ে দিন। বসা অবস্থায় কান্না শুরু করলে তাকে নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। দেখবেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
* ডায়াপার নোংরা হলে অনেক শিশু অস্বস্তি প্রকাশ করে। তখন শিশু কাঁদে। আবার কিছু শিশু এটা অনেকক্ষণ সহ্য করতে পারে।
* অনেক সময় খেলনা পেলে শিশুর কান্না থেমে যায়। প্রথমে সেই চেষ্টা করে দেখুন।
* ছোট্ট সোনামণি কাঁদলে তার সামনে যেকোনো গান করুন বা আপনার পছন্দের একটি কবিতা বলতে পারেন। ঘুমপাড়ানি গান গুনগুন করেও করতে পারেন। দেখবেন আপনার সন্তান ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাবে।
* সরাসরি কান্না থামানোর কথা না বলে, সন্তানকে গল্প বলার প্রলোভন দেখাতে পারেন। বলতে পারেন, ‘চলো তোমায় গল্প বলি। সেই কানাভূত বা ইঁদুর ছানার গল্প শুনবে বল?’ তার পছন্দের কিছু কথা বললে, গল্প করলে ধীরে ধীরে তার মন অন্যদিকে চলে যাবে।
* খুদেকে খেলার কথা বলেও ভোলাতে পারেন। বলতে পারেন, ‘বলো তোমার জন্য কী করব? চলো, আমরা একসঙ্গে খেলি। ’ বা বলতে পারেন, ‘তোমার কী ইচ্ছে করছে বলো, সেটাই করব। ’ সহজভাবেই তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, কেন সে কাঁদছে? কী হয়েছে তার? সহজ কথোপকথনে জেনে নিতে পারেন, তার মনে দুঃখ কেন বা কোনও সমস্যা হয়েছে কি না।
* অনেক সময় শিশুরা কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তোলে। বমি করে ফেলে। এমন সময় তাকে আগে শান্ত করা দরকার। খুদের কাছে গিয়ে বলুন, ‘এসো আমরা একসঙ্গে খেলা খেলি। জোরে শ্বাস নাও। আবার ছেড়ে দাও। ’ এভাবে কৌশলে তাকে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করিয়ে তাকে শান্ত করে তার পর প্রশ্ন করে জানতে চেষ্টা করুন, তার কান্নার কারণ কী?
* খুদের মনের কষ্ট শুনে, আপনি যে সমব্যথী সেটি তাকে বোঝান। ‘তোমার খুব কষ্ট হয়েছে আমি বুঝতে পারছি’, এভাবে তার সঙ্গে কথা বলুন। যাতে সে মনের কথা আরও সহজভাবে বলতে পারে।
* সন্তানের কান্নার কারণ জেনে, তাকে বোঝান আপনি পাশে আছেন। প্রয়োজনে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিলেও তার মন ভালো হবে। সে সমস্যায় থাকলে মনে জোর পাবে।
* স্কুলে যখন শিশুরা যায়, তখন নতুন পরিবেশে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। কান্না যদি সে কারণে হয়, তাকে বলুন আপনিও তার সঙ্গে আছেন। একসঙ্গেই সমস্যার সমাধান করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৪
এএটি