ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর চিয়া বীজ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সে কথা এত দিনে প্রায় সবাই জেনে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য সচেতন যারা, তারা অনেকেই সকালে খালি পেটে পানিতে চিয়া বীজ খান।
ত্বক আর্দ্র রাখতে
স্পর্শকাতর ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধানে চিয়া বীজ অব্যর্থ। মুখে র্যাশ বেরোনোর ভয়ে যারা মুখে কিছু মাখতে পারেন না, তাদের ত্বকে আর্দ্রতার অভাব দেখা যায়। রাসায়নিকযুক্ত ময়েশ্চারাইজারের বদলে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন চিয়া বীজের ওপর। বাড়িতে অ্যালোভেরা জেল না থাকলে তার বদলে চিয়া বীজ দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতেই পারেন।
প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর
রাসায়নিক এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করলে, ত্বকে র্যাশ, ব্রণ, লাল হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সেই সবের বদলে চিয়া বীজ ব্যবহার করাই যায়। বাজারজাত এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করলে অনেক সময়ই ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। চিয়া বীজের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ব্রণর সমস্যায়
চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক এবং অন্যান্য খনিজ থাকায়, তা ব্রণর সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও চিয়া বীজ খেলে, ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তৈলাক্ত ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
বলিরেখা দূর করে
ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ঠিক থাকলে, চট করে ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয় না। চিয়া বীজের মধ্যে জলীয় উপাদান বেশি থাকায়, বয়সের জন্য ত্বকে যে আর্দ্রতার অভাব হয়, তা পূরণ হয়ে যায়।
ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে
ভিটামিন ‘এ, সি, আয়রন, পটাসিয়াম এবং বিভিন্ন খনিজে সমৃদ্ধ চিয়া বীজ ত্বকের ‘ইলাস্টিসিটি’ বা স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে। ভেতর থেকে ত্বককে চকচকে করে তোলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
এএটি