রান্না করতে অনেকেই পছন্দ করেন, তবে রান্নার জোগাড় করার কাজ অনেকের কাছেই ঝক্কির মনে হয়। মসলা বাটা, সবজি কাটা, ধোয়া— সবমিলিয়ে যেন মহাযজ্ঞ।
কফি মগ কমবেশি সবার বাড়িতেই থাকে। একটা চিনা মাটির কফি মগ নিয়ে উল্টো করে রেখে দিন। এবার কফি মগের উল্টো দিকে যে গোল রিঙের মতো সাদা অংশটি থাকে, সেই অংশে ছুরির মুখটা বার বার ঘষুন। এই কাজটি করার আগে ছুরিটি হালকা করে গরম করে নেবেন। মিনিট পাঁচেক ঘষলেই ধার ফিরবে ছুরিতে।
খবরের কাগজের সাহায্যেও ছুরিতে ধার ফেরানো যায়। খবরের কাগজ মোটা করে ভাঁজ করুন। এবার সেই কাগজের ওপর ছুরিটি ভালো করে ঘষতে থাকুন। খবরের কাগজের কালিতে থাকা কার্বন ছুরিতে ধার ফিরিয়ে আনে।
প্রায়ই ছুরির ধার চলে যায়? এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ছুরি ব্যবহার করার পর ভালো করে ধুয়ে মুছে শুকনো জায়াগায় রাখার অভ্যাস করুন। ছুরি কাপড়ে মুড়ে রাখতে পারলে ভালো হয়।
কোনো ধাতব পাত্রের ওপর রেখে ছুরি ব্যবহার করবেন না। কাঠের কিংবা প্লাস্টিকের বোর্ডের ওপরে রেখে শাকসবজি কাটুন। এসব পন্থা মেনে চললে দীর্ঘদিন ছুরির ধার থাকবে। এছাড়া শাকসবজি ও পেঁয়াজ-মরিচ কাটার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ছুরি পাওয়া যায়। এতে দ্রুত কাজও করা যায়।
পিলার: যেকোনো সবজির খোসা ছাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। আবার হাত কাটারও ভয় থাকে না পিলারে।
মিন্সিং নাইফ: দেখতে সাধারণ ছুরির মতো নয়। দুটো হাতলের ওপরে ভর দিয়ে সহজেই মাংসের কিমা করে নিতে পারেন।
ব্রেড নাইফ: সাধারণ বাঙালির ঘরে ব্রেড লোফ থেকে কেটে কেটে খাওয়ার প্রচলন জাঁকিয়ে না বসলেও পাউরুটি জাতীয় কিছু টুকরো করতে ব্রেড নাইফ নিতে পারেন। এই ধরনের ছুরি ৭-১০ ইঞ্চি লম্বা হয়।
ইউটিলিটি নাইফ: ৪-৭ ইঞ্চি লম্বা এই ছুরিকে ‘মিনি শেফ’স নাইফ’ও বলা হয়। টমেটো থেকে কুমড়ো— সব ধরনের সবজিই স্বচ্ছন্দে কাটতে পারেন।
ক্লিভার: রান্নাঘরের সবচেয়ে মোটা ও ভারী ছুরি হলো ক্লিভার। খুব সহজেই হাড়সহ মাংস থেকে শুরু করে বড় কুমড়ো, তরমুজ কাটতে পারেন ক্লিভারের সাহায্যে।
বোনিং নাইফ: মাছের কাঁটা তোলা, হাড় থেকে মাংস ছাড়ানোর কাজ এর। লম্বায় ৩-৮ ইঞ্চি হয়।
শিয়ার্স: হার্ব কুচোনো থেকে চটজলদি মরিচ কাটা— এ সব কাজে ধারালো কাঁচি বা শিয়ার্স অন্যতম।
ছুরির হাজারো রকমফেরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে এগুলোই সাহায্য করতে পারে আপনার রান্নার ভোল বদলে দিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ২৭,২০২৪
এএটি