রক্তের একটি জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া, যা বংশগত। এই রোগের ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকে।
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ
এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুুখমণ্ডল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, অবসাদ অনুভব, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ত্বক হলদে হয়ে যাওয়া (জন্ডিস), অস্বস্তি, অস্বাভাবিক অস্থি, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া, শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমা হওয়া, পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া, সংক্রমণ, মুখের হাড়ের বিকৃতি, ধীরগতিতে শারীরিক বৃদ্ধি, গাঢ় রঙের প্রস্রাব, হৃৎপিণ্ডে সমস্যা ইত্যাদি।
পরীক্ষা
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে থ্যালাসেমিয়া রোগ ও থ্যালাসেমিয়ার বাহক নির্ণয় করা হয়। এই রোগটি নিশ্চিতকরণের জন্য থ্যালাসেমিয়া জিনের মিউটেশন বিশ্লেষণ বা ডিএনএ বিশ্লেষণও করা হয়।
প্রতিরোধে করণীয়
যদি থ্যালাসেমিয়া রোগের কোনো বাহক অন্য বাহককে বিয়ে না করে তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমতে থাকবে। এজন্য বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ে উভয়েরই রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
যদি একজন বাহকের সঙ্গে একজন সুস্থ মানুষের বিয়ে হয় তবে সন্তান বাহক হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। যারা থ্যালাসেমিয়ার বাহক বা জিন বহন করছে তারা প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। বিয়ের পরে যদি থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তান নিতে হবে। এভাবেই এই নীরব ঘাতক রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই প্রত্যেকেরই উচিত এই রোগ সম্পর্কে জানা এবং অপরকে জানানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২৪
এএটি