রান্নাঘরের দরকারি মসলা, ফোড়নের অন্যতম উপাদান। ডাল হোক বা ইলিশের মাছের ঝোল— স্বাদ বাড়াতে রোজই ব্যবহার হয় কালিজিরা।
সর্দি-কাশি ঠেকাতে কালিজিরা দিয়ে ঘরোয়া চিকিৎসা নতুন কিছু নয়। একটি পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা জড়িয়ে তা নাকের কাছে নিয়ে গিয়ে বড় করে শ্বাস টানুন কিছু ক্ষণ ধরে। এর ঝাঁজ বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মাকে টেনে বার করতে সাহায্য করে। নাক বন্ধের সমস্যাতেও ঘরোয়া এই উপায়ের জুড়ি মেলা ভার।
কালিজিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে ফসফরাস। তাই জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালিজিরাকে অবহেলা করলে চলবে না।
ক্রনিক পেটের সমস্যায় কাজে আসে এই মসলা। কালিজিরা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়া করুন। এবার আধ কাপ ঠান্ডা করা দুধে এই কালিজিরা এক চিমটে মিশিয়ে খালি পেটে খান রোজ। দুধ ঠান্ডা হওয়ায় বদহজমও হবে না, উল্টে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এই দানার দৌলতে।
নিয়মিত কালিজিরা খেলে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, ফলে যৌন চাহিদাও বাড়ে।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা হঠাৎ মুশকিলে ফেললে সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মতোও পরিস্থিতি থাকে না। অনেক সময় হাতের কাছে মজুত থাকে না দরকারি ওষুধও। কালিজিরা রাখুন কাপড়ে জড়িয়ে। বার নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকুন এর। শ্বাসকষ্টের কষ্ট থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে এই ঘরোয়া উপায়।
চুল পড়া রুখতেও কালিজিরার তেল উপকারী। এক চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে সম পরিমাণ কালিজিরার তেল মিশিয়ে গরম করুন। মাথায় ত্বকে এই তেল ঈষদুষ্ণ অবস্থায় মালিশ করুন। এক সপ্তাহ টানা এমন করলে চুল পড়ার সমস্যা মিটবে অনেকটাই। পাকা চুলের সমস্যা থেকেও রেহাই মিলবে এই টোটকায়।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে সপ্তাহে একদিন কালিজিরার ভর্তা রাখুন ডায়েটে। কালো জিরের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে এই পথ্য বিশেষ কার্যকর। এই মসলা শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই গার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
এএটি