শরীরের সুস্থতার জন্যই তো আপনি জিমে যাচ্ছেন। জিমে গিয়েও আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
* প্রতিটি জিমেরই কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন থাকে। সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। যেমন জিমের পোশাক। খুব খোলামেলা পোশাক যেমন বাকিদের বিব্রত করতে পারে, তেমনই খুব আঁটসাঁট পোশাকও জিমের জন্য সঠিক নয়। আপনার জন্য যে পোশাক বলে দেবেন প্রশিক্ষক, তেমনই মেনে চলার চেষ্টা করুন।
* জিম গল্প-আড্ডার জায়গা নয়। চেনা পরিচিত লোকজনের সঙ্গে দেখা হলে কথা বলুন কিন্তু উচ্চস্বরে গল্প, ব্যক্তিগত আলোচনা, হাসাহাসি অন্যের বিরক্তির কারণ হতে পারে। অযথা চিৎকার-চেঁচামেচিও কাম্য নয়।
* অনেকেই ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলেন বা ভিডিও চালিয়ে রাখেন। জরুরি ফোন তোলা যেতেই পারে, কিন্তু শরীরচর্চার সময়ে ফোনে কথা বলা বা মোবাইলে ভিডিও দেখে যাওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। তাছাড়া আপনার পাশে যারা ব্যায়াম করছেন, তাদের ভালো না লাগতেও পারে।
* জিমের ডাম্বল, ম্যাট বা যে সরঞ্জামই ব্যবহার করুন না কেন, তা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিন। আপনার কাজ হয়ে গেল চারদিকে ছড়িয়ে রেখে যাবেন না।
* প্রশিক্ষকরা বলেই দেন প্রত্যেককে তাদের নিজস্ব তোয়ালে নিয়ে আসতে। অন্যের তোয়ালে নিয়ে টানাটানি করা বা আপনার তোয়ালে যেখানে-সেখানে রেখে দেওয়া সঠিক আচরণ নয়। আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস নিজের ব্যাগেই রাখুন। জিমে যখন যাবেন নিজের ব্যাগ সবসময়ে নিয়ে যাবেন।
* জিমের প্রতিটি মেশিন ব্যবহার করার নির্দিষ্ট সময় আছে। আপনার ইচ্ছা হলেই বেশিক্ষণ ট্রেডমিলে ছুটতে বা হাঁটতে পারবেন না। অন্যকেও সুযোগ দিতে হবে। কোন মেশিন কতক্ষণ ব্যবহার করবেন তার সময় ভাগ করে নেবেন।
* ব্যায়ামের পাশাপাশি বিশ্রামও জরুরি। তাই বলে বিরতির সময়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না। প্রতি সেট ব্যায়ামের পর এক মিনিট বিরতি নিয়ে আবারও শুরু করতে পারেন। বেশি সময় বিরতি নিলে পেশি, স্নায়ু ঝিমিয়ে পড়বে, ফলে পরের ব্যায়ামে আর উৎসাহ পাবেন না। ক্লান্ত লাগতে শুরু করবে।
* অবশ্যই সুগন্ধি সঙ্গে নিয়ে যাবেন। আপনার ঘামের গন্ধ যেন অন্যের অস্বস্তির কারণ না হয়ে ওঠে।
* জিমে গিয়েই হুড়মুড়িয়ে কার্ডিও বা ওজন তোলা শুরু করে দেবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শুরুটা ‘ফ্রি-হ্যান্ড’, ‘স্ট্রেচিং’ দিয়ে হবে। আগে শরীরের পেশিগুলোকে চনমনে করে তুলতে হবে। হৃৎস্পন্দনের হারও সেই অনুযায়ী হবে। বিশ্রামের অবস্থা থেকে হঠাৎ করে ভারী ব্যায়াম শুরু করা যায় না। আগে শরীরকে মানিয়ে নিতে হবে। তার পর প্রশিক্ষক যেমন বলবেন সেই অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।
* জিমের প্রশিক্ষককে সম্মান করা ও তার কথা শুনে চলা খুব জরুরি। এখন ইন্টারনেটের দৌলতে অনেকেই বিভিন্ন ব্যায়াম নিয়ে চর্চা করেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখেন। আপনি অনেক জানতেই পারেন, কিন্তু আপনার শরীরের জন্য কোন ব্যায়াম উপযুক্ত, তা প্রশিক্ষকই ঠিক করে দেবেন।
* সেলিব্রেটিদের জিম করার ভিডিও দেখে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের মতামত দেবেন না বা প্রশিক্ষককে অমান্য করবেন না। এতে আপনারই ক্ষতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
এএটি